খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চায় না বাংলাদেশ, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহবান
  বাংলাদেশি আটকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ভারত : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
  কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে উৎসবে গাড়িচাপায় নিহত ৯
  কাশ্মির সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারও গোলাগুলি

যশোরে অপহরণের এক মাস পর রেজাউলের মৃতদেহ উদ্ধার, আটক ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে অপহরণের এক মাস চার দিন পর শংকরপুর ইসহাক সড়কের দর্জি রেজাউল ইসলামের গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেল চারটায় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দক্ষিন একসরা গ্রামের সবুজের শ্বশুর বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আসামি সবুজ ও রিপন যশোর শহরেই রেজাউলকে হত্যা করে। পরে তার মৃতদেহ বস্তাবন্দি করে ইজিবাইকে কিছু দূর নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে ও পরবর্তিতে বাসে করে সাতক্ষীরায় পাঠায়। এরপর সবুজ লাশটি তার শ্বশুর বাড়ির পাশে একটি বাগানে পুঁতে রাখে। কয়েকদিন পর বিষয়টি জানতে পেরে সবুজের শ্বশুর খোকন মোল্লা লাশ উত্তোলন করে পাশের আরেকটি বাগানে পুনরায় পুঁতে রাখে। পুলিশের অভিযানে এদিন দুপুরে ওই বাগানের মাটি খুঁড়ে রেজাউলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সবুজের শ্বশুর খোকন মোল্লাকেও আটক করেছে পুলিশ।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, রেজাউল যশোর শহরের ইসহাক সড়কে একটি দর্জির দোকান চালাতেন। তার দোকানের পাশেই ছিল আসামি সবুজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন তারা। সম্প্রতি রেজাউল জমি বিক্রি করে বেশ কিছু টাকা পান। এই টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনা করে সবুজ ও রিপন। রেজাউলের সহজ-সরল স্বভাবের সুযোগ নিয়ে তারা তাকে অপহরণ ও হত্যা করে।

স্বামী নিখোঁজ হওয়ার একমাস পর কুলকিনারা না পেয়ে গত শনিবার কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন নিহত রেজাউলের স্ত্রী মমতাজ বেগম। মামলায় অভিযুক্ত করা হয় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তালতলা বাজার কুড়ি কাওনিয়া গ্রামের হবি গাজীর ছেলে সবুজ ওরফে রবিউল এবং যশোর শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে রিপন হাওলাদারসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে।

এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সবুজ ও রিপনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা রেজাউলকে অপহরণ ও হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে ও সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে হত্যারর মূল রহস্য।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্রিফ করবেন। তবে তিনি নিশ্চিত করে বলেন, রেজাউল হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!